শিশু ও নারী পুরুষের বিনোদনের জন্য ঝিনাইদহে যে কটি বেসরকারি বিনোদন কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে তার মধ্যে ঈদ আনন্দ উপভোগ করতে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার জামাল ইউনিয়নের তৈলকূপীর নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট নামে এই বিনোদন কেন্দ্রে এখন দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
ঈদের আনন্দকে আরো বেশি স্মরণীয় করে রাখতে শিশুদের পাশাপাশি বড়রাও মেতে উঠেছে আনন্দের জোয়ারে। ঝিনাইদহ সদরের নলডাঙ্গা বাজারের দক্ষিণ পাশে গড়ে উঠা নলডাঙ্গা এলাকার অত্যাধুনিক ও দৃষ্টি নন্দন বিনোদন কেন্দ্র নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট এন্ড পিকনিক স্পট (এনআরবি)। তবে এটিকে পাতা মিয়ার পার্ক নামে অনেকে চেনে।
সম্পর্কিত খবর
নলডাঙ্গা রাজবাড়ি রিসোর্টসের এমডি ইমদাদুল হক সোহাগ জানান, ২০০৯ সালের আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। ছোট-বড় সবার জন্যই আলাদা সব রাইড রয়েছে। ১৫ একর জমির উপর নির্মিত এই পার্কে রয়েছে মায়াবীস্পট, কৃত্রিম অভয়ারন্য, ডুপ্লেক্স কটেজ, পার্কে শিশু কিশোরদের জন্য একাধিক রাইডস, সুবিশাল লেক, হংসরাজ প্যাডেল বোট, ওয়াটার পার্ক, পাহাড় সহ বিভিন্ন রকমের মুর্তি। মনোমুগ্ধকর প্রাকৃতিক পরিবেশ বেষ্টিত নয়নাভিরাম, রকিং হর্স, ব্যক্তি প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ।
তিনি বলেন আমাদের উদ্দেশ্য মুনাফা অর্জন করা নয়। মানুষের বিনোদন দেওয়ায় প্রধান লক্ষ্য। শিশুদের নির্মল আনন্দ দেয়ার জন্যই এই পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে। আমি চেষ্টা করছি এই নলডাঙ্গা রাজবাড়ী রিসোর্ট (এনআরবি) পার্ককে আন্তর্জাতিক মানের পার্ক করার। বিভিন্ন রকমের রাইডের ব্যবস্থার পাশাপাশি দর্শনার্থীর জন্য একটু প্রাকৃতিক পরিবেশে ঘুরাঘুরির জন্য নতুন একটি সাফারি পার্ক করার পরিকল্পনা আমার আছে। আমি আশা করি কোনো দর্শনার্থী এখানে এসে নিরাশ হবে না। আমি সাধ্য মত চেষ্টা করছি দর্শনার্থীদের সকল কিছু এসে যেন এক সাথে পায়।
এমডি সোহাগ আরো জানান, দর্শনার্থীর নিরাপত্তার চিন্তা করে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা ও সরকার প্রদত্ত নিরাপত্তা কর্মীর তত্ত্বাবধানে সুশৃঙ্খল ও নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তোলার কথাও আমার মাথায় আছে। তবে শিশু ও কিশোরদের পাশাপাশি বিনোদন পিয়াসী সকল শ্রেণী-পেশার মানুষের আনন্দের খোরাক যোগাবে এই পার্ক এমনটাই প্রত্যাশা স্থানীয়দের। তিনি জানান, খুব শিঘ্রই এখানে উন্নত মানের খাবার রেস্টুরেন্ট চালু করা হবে। একই সাথে দর্শনার্থীদের জন্য আবাসিক উন্মুক্ত করা হবে। এখানে ২ তলা বিশিষ্ট আধুনিক মানের আবাসিকের ব্যবস্থা রয়েছে।
স্বপরিবারে পার্কে বেড়াতে আসা কোটচাদপুরের ব্যবসায়ী জয়নাল হোসেন বলেন, পরিবার নিয়ে এসে মফস্বল শহরের নির্জন পরিবেশ ভিন্ন সাধ ও অত্যাধুনিক রাইডে চড়ে ঈদের আনন্দ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। ঝিনাইদহে বে সরকারি পর্যায়ে যে কটি পার্ক গড়ে তোলা হয়েছে তার মধ্যে এনআরবি পার্কটি অনেক ভাল। সম্পুর্ণ নিরিবিলি পরিবেশ। এখানে যে রাইডগুলি আছে যা আমাদের মধ্যবিত্তদের সাধ্যের নাগালেই আছে। এখানে অতি কম খরচে পরিবার নিয়ে বিনোদন উপভোগ করা যায়। এখানে প্রতি টিকিট ৩০ টাকা এবং ৫০ টাকার টিকিটে ১ টা রাইডস ফ্রি এ কারনে কম খরচে পরিবারকে নিয়ে এক সাথে নিয়ে ঘুরতে পেরে খুব আনন্দ লাগছে।
পার্কে বেড়াতে আসা যশোর এম এম কলেজের শিক্ষার্থী জেরিন জানান, এই রির্সোটি খুব ভাল লেগেছে। কারণ পার্কের পরিবেশ অনেক ভাল। এছাড়াও নলডাঙ্গা বাজারের পাশেই রয়েছে কয়েকশ বছরের পুরাতন রাজবাড়ী। একই সাথে দুটি স্থান দেখা যায়।